আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকের এই লেখনীতে আমরা কথা বলব কিভাবে ইউটিউবিং এ সফল হবেন। অনেক এ আছেন সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে ইউটিউব এ সফল হয় না। আবার অনেক এ ভিডিও সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি না করার কারণে তাদের ভিডিও ভাইরাল হয় না।
আবার অনেক সময় ভিডিও এর মধ্যে কপি মিউজিক বা ভিডিও ক্লিপ ইউজ করার কারণে ভিডিওতে কপিরাইট ক্লেইম খায়।তাই আজকের পোস্ট সকল বিষয় সমুহ বলা হয়েছে পরবর্তী আরো কয়েকটি টিউটোরিয়াল আসবে ইউটিউব চ্যানেল এর উপর।
আজকের এই আর্টিকেল এ আমরা A to Z আলোচনা করবো।
আজকের এই পোস্ট এ যেসব বিষয় বলা হয়েছে
- ইউটিউব কি?
- ইউটিউব এ কিভাবে সফল হবেন
- যেভাবে ভালো মানের ভিডিও তৈরি করবেন
- যেভাবে সঠিক কন্টেন্ট বাছাই করবেন
- যেভাবে এসইও করবেন যেভাবে
$ads={1}
ইউটিউব কি ?
ইউটিউব হলো একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট। যেখানে আপনি আপনার তৈরি করা কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং সেই কন্টেন্ট থেকে লোকজন উপকৃত হবে।
তো এইবার আমরা কথা বলব কিভাবে ইউটিউবিং এ সফল হবেন। এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে।তো চলুন শুরু করা যাক।
১. ভালো মানের নিচে বা টপিক বাছাই করা।
ইউটিউব এ সফল হওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনাকে একটা টপিক বা নিচে বাছাই করা। যেসব বিষয় লোকজন খোঁজ করে বা পছন্দ করে সেই বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করা।তাই কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ভালো এবং জনপ্রিয় নিচে গুলো বাছাই করা উচিত ।
ভালো মানের নিচে নিয়ে ভিডিও তৈরি করলে লোকজন আপনার ভিডিও দেখবে যা থেকে তারা উপকৃত হবে।
উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি নিচে এর নাম বলা হলো
- Gaming Content
- Insurance Content
- Financial Content etc.
তাই ভালো মানের এবং জনপ্রিয় নিচে খুঁজে ভিডিও তৈরি করা উচিত।
২. ভালো মানের ভিডিও তৈরি করা।
সফল হওয়ার দ্বিতীয় ধাপ হলো ভালো কোয়ালিটির ভিডিও তৈরি করা। যদি আপনি নিম্ম মানের ভিডিও তৈরি করেন তাহলে লোকজন আপনার ভিডিও দেখবে না। তাই যথা প্রস্তুতি নিয়ে ইউটিউব এ আসা উচিত। ভিডিও বানানোর জন্য ভালো ডিভাইস নেওয়া উচিত এবং দর্শক আকর্ষিত হয় এইরকম কিছু রাখা উচিত । ভিডিও ইডিটিং এ দক্ষ হওয়া উচিত এবং ভিডিওতে অবাঞ্ছিত জিনিস না রাখা ভালো।
যদি আপনি দর্শক এর মন জয় করতে না পারেন তাহলে ইউটিউব এ আপনি সফল হতে পারবেন না। তাই সঠিক গাইডলাইন মেনে কন্টেন্ট তৈরি করা ভাল।
৩. ভিডিও ভালো মত এসইও করা।
এই ধাপটি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যেটি না জানলে আপনি ইউটিউব এ কখনো সফল হতে পারবেন না। আপনার ভিডিও বা চ্যানেল কখনো র্যাংক করাতে পারবেন না।এসইও করার প্রথম নিয়ম হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ভিডিও টাইটেল এবং ডিসক্রিপশন লেখা। এই কাজগুলি না করলে সারা জীবন ধরে ভিডিও বানালেও কোন কাজ হবে না। তাই ওয়েব সাইট এবং ইউটিউব যাই বলুন এসইও শেখা ছাড়া কোন উপায় নেই। পরবর্তী একটি পোস্ট এ দেখাবো কিভাবে ইউটিউ চ্যানেল এ এসইও করবেন।
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিজ্ঞ হওয়া
আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবশ্যই অভিজ্ঞ হতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম , টুইটার এগুলোতে আপনাকে এক্টিভ হতে হবে। বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে লিংক শেয়ার করতে পারেন এতে আপনার ভিডিওতে ভিউ পাবেন এবং ভিউয়ার এর পছন্দ হলে সাবস্ক্রাইব ও পাবেন।
তবে শেয়ার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। নইলে আপনার চ্যানেল লিংক ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন:- নতুন ইউটিউবাররা যে পাঁচটি ভুল করে থাকে
৫. সঠিক পদ্ধতিতে ভিডিও title and description লেখা।
আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন না মেনে ভিডিওর টাইটেল এবং ডিসক্রিপশন লেখেন তাহলে আপনার ভিডিও র্যাংখ করাতে পারবেন না। তাই আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ করা উচিত । আপনাকে লো কম্পিটিশন এবং সবচেয়ে বেশি সার্চ হয় হয় এমন ধরনের ছোট এবং বড় কিওয়ার্ড রিসার্চ করা উচিত। এতে আপনি সহজেই ভিডিও র্যাংক করতে পারবেন। আপনার ভিডিও সার্চ রেজাল্ট এর প্রথমে আসবে। এতে আপনি প্রচুর দর্শক পাবেন।
$ads={2}
৬. ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকা।
আপনার অবশ্যই উচিত ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকা। ধৈর্য্য ধরে সামনে এগোনো। এতে আপনি একদিন না একদিন সফল হবেন। আপনার উচিত ধৈর্য্য ধরে ভিডিও তৈরি করা। তাই ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকুন।
আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। প্রত্যেক ধাপ পালন করলে আপনি সফল হবেন। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনাকে ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে যদি হার মেনে নেন তাহলে সফল হবেন না। সামনে এই বিষয়ের উপর আরো কিছু পোষ্ট দেওয়া হবে সেই পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
ভালো লাগলে পোস্টটা শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
Post a Comment