লিচু এই ফলটির নাম সকলে শুনে থাকবেন । কারণ লিচু হলো এমন একটি লোভনীয় ফল যা ছোট বড় এবং বৃদ্ধসহ সকলের কাছে খুব জনপ্রিয়।এটি খুবই রসালো ফল।


তবে লিচু সারাবছর পাওয়া যায় না।এটি শুধু গ্রীষ্মকালীন সময়ে পাওয়া যায়। লিচু বানিজ্যিক ক্ষেত্রেও অনেক অবদান রাখে। লিচু চাষ করে অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। লিচু আবার বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায়।

$ads={1}

লিচুর মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সব পুষ্টিগুণ।লিচু শরীরের পুষ্টিচাহিদা পূরণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লিচুর মূল উপাদান জলীয় অংশ অনেক বেশি থাকে। এর বাইরে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট খুব অল্প পরিমাণে থাকে। ফ্যাট না থাকায় সবার জন্য লিচু খুব উপকারি একটি ফল।




কম ক্যালরি সম্পন্ন এই ফল সবাই খেতে পারে। তবে যাদের মিষ্টি খাওয়ায় কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে থাকে অর্থাৎ ডায়াবেটিস রোগী, তাদের জন্য এই ফল কিছুটা কম খাওয়াই ভালো। এতে তারা রোগ থেকে কিছুটা শংকামুক্ত থাকতে পারেন।

$ads={2}

লিচুতে ভিটামিস-সি, ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে।যা আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া অন্যান্য খনিজ উপাদানগুলো হচ্ছে- আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদানগুলো যথেষ্ট পরিমাণে থাকে।


 এ কারণে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা মেটাতে লিচু অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। তাই মৌসুমি ফলগুলো যতটা সম্ভব আমাদের জন্য খাওয়াটা খুবই উপকারি।


নিম্নে লিচুর কিছু উপকারিতা দেওয়া হলো:-


  • লিচু আমদের শরীরে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হলে সব ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
  • এছাড়া লিচুতে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলা আমাদের রক্তের শ্রেতকণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।যা শরীরের জন্য উপকারী।
  • লিচু শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বা রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করতের সহায়তা করে।রক্তের পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি পাওয়ায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • লিচু শরীরে ওজন কমাতে যথেষ্ট সহায়তা করে। লিচুতে থাকা খাদ্য-আঁশ খাদ্যের পরিপাক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া এই খাদ্য-আঁশগুলো দেহের ভেতর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে।
  • লিচুর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে- এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। লিচুতে থাকা ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • এছাড়া লিচু আমাদের হজমে সহায়তা করে। তবে পরিমাণে বেশি খেলে এটি আমাদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
  • লিচু রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণেও বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • লিচু অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধে সহায়তা করে।


এই হলো লিচুর উপকারিতা। তাই আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত খাদ্য তালিকায় মৌসুমী ফল বা লিচু রাখা। এতে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। শরীর সুস্থ থাকবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post