আসসালামুআলাইকুম




আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আর্টিকেল এ আমরা জানব অক্সিজেন এর গুরুত্বপূর্ণ দিক।যা আমাদের জীবন একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় জিনিস।


অক্সিজেন হলো সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একটি নেয়ামত। অক্সিজেন ছাড়া মানুষ্যজাত বা অন্যান্য প্রাণীরা কেউই এক মুহুর্ত বেছে থাকতে পারবে না। আমরা শ্বাস প্রশ্বাস এর মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকি। সাধারণত গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন নিই এবং আমরা যে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ি তা গাছ গ্রহণ করে থাকে।


$ads={1}

কিন্তু আজকের আর্টিকেল এ আমরা জানব অক্সিজেন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস।আমাদের শ্বাস নিতে বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমস্যা হলে সাধারণত আমাদের কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেয়া হয়। আর এই কৃত্রিম অক্সিজেন বিভিন্ন উপাদান এর সাহায্যে তৈরি করা হয়।



আর এই কৃত্রিম অক্সিজেন গ্রহণ করার জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। তাই আজকের আর্টিকেল এ আমরা এ বিষয়ে কথা বলব।





১) কখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবেঃ-


আপনাকে খেয়াল রাখতে বাসায় অক্সিজেন এর পরিমাণ সঠিক মাত্রায় আছে কিনা।যদি  না থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞ এর সাথে কথা বলে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।আর শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য ব্যায়াম করতে হবে এবং কিছু লক্ষন এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি দেখেন যে রোগীর ঠোঁট, জিহ্বা বিবর্ন হয়ে যাচ্ছে এবং দেখেন রোগী যদি অচেতন হয়ে যাচ্ছে। এরকম সমস্যা দেখতে পেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।


২) অক্সিজেন লেভেল বাড়াতে করনীয়:-


কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন এর মাত্রা ঠিক রাখার জন্য ডাক্তাররা কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকে। উপুর হয়ে শুয়ে থাকা বা এক পাশ শুয়ে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর ও যদি অক্সিজেন এর সমস্যা হয় তাহলে রোগীকে কৃত্রিম অক্সিজেন ব্যাবস্থা করতে হবে।


৩) মাস্ক বা ক্যানোলা ব্যাবহার করার সময় করনীয়:-


অনেকে এই মাস্ক বা ক্যানোলা এর সঠিকভাবে ব্যবহার জানে না। সঠিক নিয়ম না জেনে এই মাস্ক বা ক্যানোলা ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। তাই আপনাদের উচিত মাস্ক বা ক্যানোলা ব্যবহার এর সময় সঠিকভাবে নিয়ম মেনে ব্যবহার করা উচিত। এটি সাধারণ মাস্ক এর মতো হলেও এটি ব্যবহার এ আপনাদের সতর্ক থাকা জরুরি । মাস্ক বা ক্যানোলা লাগানোর আগে আপনাদের ভাল ভাবে খেয়াল রাখতে হবে মুখ ও নাক দিয়ে যেন শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে।



$ads={2}

৪) কতক্ষন পর পর অক্সিজেন এর মাত্রা মাপবেনঃ-


রোগীর দেহে অক্সিজেন এর মাত্রা সাধারণত ২-৩ ঘন্টা পর পর মাপা উচিৎ। প্রতিবার যদি অক্সিজেন এর মাত্রা কম পাওয়া যায়,তাহলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তার যদি মনে করেন তাহলে কৃত্রিম অক্সিজেন ব্যাবস্থা করে দিবে।


৫) অক্সিজেন এর মাত্রা কিরকম থাকা উচিত:-


ডাক্তারদের মতে অক্সিজেন এর মাত্রা যদি সাধারণত ৯৫ এর মতো থাকে,তাহলে কৃত্রিম অক্সিজেন নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু অক্সিজেন এর লেভেল মাত্রা যদি ৯৪% বা তার নিচে নেমে যায় তাহলে রোগীকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা ভাল। এছাড়া ও যদি অক্সিজেন এর মাত্রা ৯২% এর মতো থাকে তাহলে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন নেয়ার প্রয়োজন আছে। যদি আপনার সঠিক ধারণা না থাকে তাহলে ডাক্তার এর থেকে সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।





৬) রোগীকে কখন অক্সিজেন দিবেনঃ-


সাধারণত রক্তের অক্সিজেন এর মাত্রা ৯৩ শতাংশ এর কম হলে রোগীর অক্সিজেন এর প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী অক্সিজেন দেয়া উচিৎ। কোনো রোগীর কম-বেশি অক্সিজেন লাগতে পারে। তাই ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া জরুরি।



আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ জানতে পারলেন।যা আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে। আরো স্বাস্থ্যবিষয়ক এবং শরীর সুস্থ রাখার টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।


ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post