আসসালামুয়ালাইকুম

How To secure Android phone or device


আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকের আর্টিকেল এ আমরা কথা বলব এন্ড্রোয়েড ফোনের নিরাপত্তা নিয়ে।


আমরা জানি সারা বিশ্বে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী সংখ্যা অনেক বেশি। যার এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়। আমরা সকলেই আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনে নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করি। কিন্তু কখনও চিন্তা করি না যে এই তথ্য গুলো নিরাপদ আছে কিনা।যার ফলাফল হয় তথ্য গুলো হ্যাকারদের কাছে চলে যায়।


কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন কিভাবে যায়? যদি আপনি বা আমি একটু সতর্কতার সহিত থাকি তাহলে হ্যাকারদের জন্য আপনার এই নিরাপত্তা ভেদ করা তথ্য আত্মসাত করা কষ্টসাধ্য বটে। তো চলুন আজকের আর্টিকেল এ আমরা জানব কিভাবে অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা যায়।


$ads={1}

নিম্নে পাঁচটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হলো যার মাধ্যমে আপনি আপনার এন্ড্রয়েড ফোন নিরাপদ রাখতে পারেন।


১.নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন।



আমরা সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো আমাদের যোগাযোগের একটা বড় মাধ্যম। হ্যাকাররা বিশেষ করে ব্যবহারকারীর দুর্বল নিরাপত্তা বা দূর্বল পাসওয়ার্ড ভেদ করে ফেসবুক, জিমেইল, অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট ইত্যাদির পাসওয়ার্ড বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় হ্যাক করে থাকে।


যার মধ্যে একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে ব্রুট ফোর্স। এ ক্ষেত্রে আপনার পাসওয়ার্ডটি যদি অনুমানযোগ্য হয় বা দূর্বল হয়, তবে ব্রুট ফোর্স এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পাসওয়ার্ড তাদের হাতে চলে যাবে।


নিম্নে কয়েকটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এর উদাহরণ দেওয়া হলো:-


Morsu&@1, Kabin#$6 


আরো বেশি শক্তিশালী করতে চাইলে অবশ্যই ১২ থেকে ১৫ ডিজিটের কমপ্লেক্স  পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। alert-info


২. গুগল প্লে স্টোর এর বাইরে থেকে কোন প্রকার অ্যাপস ইনস্টল না করা। 




সফটওয়্যার ডাউনলোডের ক্ষেত্রে কোন থার্ড পার্টি সাইট থেকে ডাউনলোড করবেন না। কারণ থার্ড পার্টি সাইট থেকে আপনি যদি এপস ডাউনলোড করেন তাহলে তার সাথে বিভিন্ন ম্যাল‌ওয়ার বা ভাইরাস আপনার ফোন এ ঢুকে পড়ে। তাই অবশ্যই প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করবেন। এক্ষেত্রে আপনার ফোনে কোন প্রকার ভাইরাস বা খারাপ প্রোগ্রাম প্রবেশ করবে না। কারণ প্লে স্টোর এর সকল সফটওয়্যার প্লে প্রটেক্ট বা গুগল সিকিউরিটি এর মাধ্যমে যাচাইকৃত।


৩. ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপ ইনস্টল ও তা একটিভ করা।



ফোনের লোকেশন ট্র্যাকিং করার জন্য এই এপটি কার্যকারি। তাই গুগল প্লে স্টোর থেকে ফাইন্ড মাই ডিভাইস সফটওয়ারটি ইনস্টল করে একটিভ করে রাখবেন ।এতে করে আপনার ফোন হারিয়ে গেলেও আপনার ফোনের লোকেশন ট্র্যাকিং করা, ফোনের নোটিফিকেশন পাঠানো, ফোনের সবকিছু মুছে দেওয়ার সুবিধা পাবেন। যাতে ফোন চুরি করা ব্যাক্তি আপনার কোন ক্ষতি করতে না পারে।


৪. নিয়মিত সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট করুন।



এন্ড্রয়েড ফোনে বিভিন্ন ধরনের আপডেট আসে। যেমন অ্যান্ড্রয়েড আপডেট, ইউ আই আপডেট, সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট বা সিস্টেম আপডেট। অনেকেই সিকিউরিটি প্যাচসহ কোন কিছুই আপডেট দেয় না। 

$ads={2}

এক্ষেত্রে ফোনের সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট আসার সাথে সাথেই আপডেট দিয়ে দিবেন। এতে করে আপনার ফোনের সিকিউরিটি আরো বেশি শক্তিশালী হবে এবং ফোন ফাস্ট করার জন্য এবং নতুন ফিচার পাওয়ার জন্য সিস্টেম আপডেট করবেন।


৫. ইউএসবি সংযোগের সর্তকতা অবলম্বন করা।



অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ফোনে চার্জ না থাকলে অথবা আমরা দূরে কোথাও গেলে যেকোনো ইউএসবি কেবল পেলেই চার্জে লাগিয়ে দেই। এক্ষেত্রে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। নাইলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারাতে হবে। কেবল ঢুকানোর পর কোন পারমিশন চাইলে শুধুমাত্র চার্জিং অনলি অপশন বাছাই করবেন। এক্ষেত্রে আপনার ডেটা চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।


আশা আপনারা এই সতর্কতা গুলো মেনে চলবেন। কারণ হ্যাকাররা সবসময় তাকিয়ে থাকে কখন কার তথ্য চুরি করা যায় কিন্তু এবং তা দিয়ে ব্যবহারকারীকে বিপদে ফেলতে পারে।


এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আপনারা তথ্য চুরি হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন। পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থার আরো একটি পর্ব নিয়ে হাজির হবো।


এই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকবেন ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post